ঢাকা,রোববার, ৫ মে ২০২৪

চবির পাহাড়ে মাদকের আস্তানা, ইয়াবা-চাপাতিসহ আটক ৩, চোরাই মাল উদ্ধার

 চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি :: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) একটি পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে ৪৪ পিস ইয়াবা ও ২টি চাপাতিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ কর্মচারী ও ১ দোকানিকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধু হলের উত্তর পাশের পাহাড়ে পুলিশের সহায়তায় ৪ এপ্রিল সোমবার বিকালে মাদকের গোপন আস্তানায় এ অভিযান চালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।
জানা যায়, ১০ ফুট চওড়া বাঁশ, ছন ও বেড়া দিয়ে তৈরি ঘরটিতে রয়েছে ইয়াবা সেবনকারীদের নিয়মিত যাতায়াত। বিদ্যুতের জন্য সেখানে বসানো হয়েছে সোলার প্যানেল। ইয়াবা সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম, সোলার প্যানেল, চোরাই রড মিলে ওখানে। ঘণ্টা হিসেবে ইয়াবা সেবনকারীদের দেয়া হয় মাদকের ওই আস্তানা।
ওইদিন দুপুর ২টা থেকে পুলিশের সহায়তায় এই অভিযান শুরু করে প্রক্টরিয়াল বডি। এসময় তারা পাহাড়ে একটা আস্তানা খুঁজে পান। সেখান থেকে ৪৪ পিস ইয়াবা, দুটি চাপাতিসহ তিনজনকে আটক করেন। বিকেল প্রায় ৫টা পর্যন্ত অভিযান চলমান ছিল। আটককৃতরা হলেন প্রকৌশল দপ্তরের চেইনম্যান মো. মহিউদ্দিন (২৬), শারীরিক শিক্ষা বিভাগের অফিস সহকারী মঈনুল হক হাসান (৪২) ও কেন্দ্রীয় মাঠ সংলগ্ন দোকানদার নাছির (২৮)। মহিউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিনের ভাই ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী। এর আগে গত ১২ এপ্রিল আটক মহিউদ্দিনের ভাই নাজিম উদ্দিনের চোরাই মালের আস্তানার সন্ধান পায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই সময় সেখান থেকে ১০০ কেজি চোরাই লোহা, টিন ও নির্মাণ সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। এছাড়া গত ১২ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা দফতরের সুপারভাইজার বেলায়েত হোসেনকে তলপেটে লাথি মারার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাজিমের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর ক্যাম্পাসে নাজিমকে আটক করতে অভিযান চালায় পুলিশ, প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তা দফতর।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান বলেন, পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন কর্মচারী ও একজন দোকানদারকে আটক করেছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। আপাতত থানায় পাঠানো হয়েছে।
নাজিম উদ্দিনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীদের অভিযোগ, কর্মচারীর সন্তান হওয়ায় নাজিম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কলোনিতে থাকেন। ইয়াবা নিয়ে আটক হওয়া তার ভাই মহিউদ্দিনও বিশ্ববিদ্যালয়ের কলোনিতে থাকেন। সবসময় অপরাধ করে গা ঢাকা দেওয়া নাজিম কিছুদিন পরই ফিরে আসেন ক্যাম্পাসে। কিন্তু তাকে পরে আটকের বিষয়ে কোনো তৎপরতা দেখা যায় না। ফলে তার হাতে আবারও হামলার শিকার হতে হয় বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের। মামলা দায়ের না হওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে না পারার অজুহাত দেখায় পুলিশ।

পাঠকের মতামত: